ইসলামে কি দাস-দাসীদের চতুষ্পদ জন্তুর ন্যায় দেখা হয় ?
মূল আর্টিকেল লিংকঃ ইসলামে কি দাস-দাসীদের চতুষ্পদ জন্তুর ন্যায় দেখা হয় ? - Faith and Theology (faith-and-theology.com)
"ক্রীতদাস হত্যার বিনিময়ে স্বাধীন ব্যক্তিকে হত্যা করা যাবে না।"রেফারেন্সঃ সুনানু বাইহাকী, ৮ম খন্ড, পৃ-২৫১।
এই রেওয়াতের ব্যক্ষায় ড.মুহাম্মদ রাওয়াস কালা'জী উল্লেখ করেছেন যে, " দাস মর্যাদার দিক থেকে চতুষ্পদ জন্তুর ন্যায়।"রেফারেন্সঃ ফিকহ আবু বকর; পৃষ্ঠা নং- ১০২
আল্লাহ সুবাহানাহু ওয়া তাআলা বলেন;হে মু'মিনগণ! তোমাদের প্রতি নিহতদের কিসাস সম্পর্কে আদেশ দেয়া যাচ্ছে, স্বাধীন ব্যক্তির বদলে স্বাধীন, গোলামের বদলে গোলাম এবং স্ত্রীলোকের বদলে স্ত্রীলোক, অতঃপর যাকে তার ভাইয়ের পক্ষ হতে কিছু অংশ মাফ করে দেয়া হয়, সে অবস্থায় যথাযথ বিধির অনুসরণ করা ও সততার সঙ্গে তার দেয় আদায় করা বিধেয়, এটা তোমাদের প্রভুর পক্ষ হতে ভার লাঘব ও অনুগ্রহ,এরপর যে কেউ বাড়াবাড়ি করবে, তার জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি রয়েছে।রেফারেন্সঃ সূরা বাকারা; ২ঃ১৭৮
উক্ত আয়াতেরে তাফসিরে, 'তাফসীরে তাবারি"তে উল্লেখ করা হয়ছে,আবু তালিব (রা.) আমাদের নিকট বর্ণনা করেছেন, যে কোনো স্বাধীন ব্যক্তি যদি কোনো কৃতদাসকে হত্যা করে তবে সে তার কিসাস হবে। যদি দাসের মনিবগণ ইচ্ছা করেন তাকে হত্যা করবে।রেফারেন্সঃ তাফসীরে তাবারী; ৩য় খন্ড পৃষ্টা নং-১৬৩
উক্ত আয়াতে তাফসীরে ইবনে কাছিরেও উল্লেখ করা হয়ছে,ইমাম আবু হানীফা (রঃ), ইমাম সাওরী (রঃ), ইমাম আবু লায়লা (রঃ) এবং ইমাম আবু দাউদ (রঃ)-এর মাযহাব এই যে, "কোন আযাদ ব্যক্তি যদি কোন গোলামকে হত্যা করে তাবে তার পরিবর্তে তাকেও হত্যা করা হবে।"হযরত আলী(রাঃ), হযরত ইবনে মাসউদ (রাঃ),হযরত সাঈদ বিন যুবাইর (রঃ), হযরত ইব্রাহীম নখঈ (রঃ), হযরত হাকাম (রাঃ)-এরও এই মাযহাব।হযরত ইমাম বুখারী (রঃ), হযরত আলী বিন মাদীনী (রঃ), হযরত ইবরাহীম নাখঈ (রঃ)-এরও একটি বর্ণনা অনুসারে হযরত সাওরী (রঃ)-এরও মাযহাব এটাই যে, যদি কোন মনিব তার গোলামকে হত্যা করে তবে তার পরিবর্তে মনিবকেও হত্যা করা হবে। এর দলীল হিসেবে তারা একটি হাদিস উল্লেখ করেন, " যে ব্যক্তি তার গোলামকে হত্যা করবে আমরাও তাকে হত্যা করবো, যে গোলামের নাক কেটে নেবে আমরাও তার নাক কেটে নেবো।"
আবূ হুরাইয়াহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যেন ‘আমার দাস ও আমার দাসী’ না বলে এবং অধীনস্থরাও যেন ‘আমার রব, আমার রাব্বাতী’ না বলে। বরং মনিব তার দাসকে বলবে, ফাতায়া ও ফাতাতী (আমার যুবক ও আমার যুবতী)। আর অধীনস্থ লোকেরাও বলবে, আমার সাইয়িদ আমার সাইয়িদাহ (আমার নেতা ও আমার নেত্রী)। কেননা তোমরা সবাই গোলাম। মহান আল্লাহই হলেন একমাত্র রব।
রেফারেন্সঃ সুনানে আবু দাউদ; হাদিস নং- ৪৯৭৫
আবূ হুরাইয়াহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যেন ‘আমার দাস ও আমার দাসী’ না বলে এবং অধীনস্থরাও যেন ‘আমার রব, আমার রাব্বাতী’ না বলে। বরং মনিব তার দাসকে বলবে, ফাতায়া ও ফাতাতী (আমার যুবক ও আমার যুবতী)। আর অধীনস্থ লোকেরাও বলবে, আমার সাইয়িদ আমার সাইয়িদাহ (আমার নেতা ও আমার নেত্রী)। কেননা তোমরা সবাই গোলাম। মহান আল্লাহই হলেন একমাত্র রব।
রেফারেন্সঃ সুনানে আবু দাউদ; হাদিস নং- ৪৯৭৫
আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের দাস-দাসীর মধ্যে যারা তোমাদেরকে খুশি করে তাদেরকে তোমরা যা খাও তা-ই খেতে দাও এবং তোমরা যা পরিধান করো তাই পরতে দাও। আর যেসব দাস তোমাদের খুশি করে না তাদেরকে বিক্রি করো। তোমরা আল্লাহর সৃষ্টিজীবকে শাস্তি দিও না।
রেফারেন্সঃ সুনানে আবু দাউন; হাদিস নং- ৫১৬১
আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের দাস-দাসীর মধ্যে যারা তোমাদেরকে খুশি করে তাদেরকে তোমরা যা খাও তা-ই খেতে দাও এবং তোমরা যা পরিধান করো তাই পরতে দাও। আর যেসব দাস তোমাদের খুশি করে না তাদেরকে বিক্রি করো। তোমরা আল্লাহর সৃষ্টিজীবকে শাস্তি দিও না।
রেফারেন্সঃ সুনানে আবু দাউন; হাদিস নং- ৫১৬১
আবু হুরাইরা (রা.) হতে বর্ণিত,
নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, "তোমাদের কেউ যেন [এভাবে সম্বোধন কিরে] না বলে, 'তোমার প্রভুকে খাওয়াও', 'তোমার প্রভুকে অযু করাও', 'তোমার প্রভুকে পান করাও', বরং বলবে, 'আমার মুনিব (সাইয়্যিদ)' বা 'আমার অভিভাবক (মাওলা)'। আর তোমাদের কেউ যেন না বলে 'আমার দাস/বান্দা (আবদ)' বা 'আমার দাসী/বান্দী (আমাত)'; বরং বলবে 'আমার বালিকা (ফাতাত)' এবং 'আমর বালক (গুলাম)'।
রেফারেন্সঃ সহিহ বুখারী, হাদিস নং- ২৫৫২; ইংরেজি অনুবাদ; ভলি ৩; বুক ৪৬।
আবু মুসা (রাঃ) হতে বর্ণিত;রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইই ওয়া সাল্লাম বলেন, যার একটি ক্রীতদাসি আছে আর এ তাকে শিক্ষাদীক্ষা দান করে, তার সাথে সদয় ব্যাবহার করে, অতঃপর তাকে মুক্ত করে বিবাহ করে সে দ্বিগুণ সওয়াব পাবে।