ইসলাম কি দাসীদের জোরপূর্বক সহবাস বা ধর্ষণের অনুমতি দেয় ?

ইসলাম কি দাসীদের জোরপূর্বক সহবাস বা ধর্ষণের অনুমতি দেয় ? 

লিখেছেনঃ সাজ্জাতুল মাওলা শান্ত।  




ইসলামকে আঘাত করার জন্য খ্রিষ্টান মিশনারি,নাস্তিক-মুক্তমনা, আর কমুনিস্টদের অন্যতম এক হাতিয়ার হলো দাস প্রথা। নাস্তিক-মুক্তমনারা তাদের ভিবিন্ন ওয়েভসাইটে লিখে প্রচার করছে যে ইসলামে দাসীর সাথে জোরপূর্বক সহবাসের অনুমতি আছে। 

চলুন দেখে নেওয়া যাক নাস্তিক-মুক্তমনাদের এই অভিযোদের সতত্যা কতটুকু। 

নাস্তিকরা যে-সব ওয়েভসাইটের মাধ্যমে ইসলামে দাসীর সাথে জোরপূর্বক সহবাসকে বৈধ করার জন্য যেসকল আয়াত কিংবা হাদিস উপস্থাপন করে সেগুলোর কোথাও এ কথা উল্লেখ নেই যে "দাসীদের সাথে জোরপূর্বক সহবাস করা যাবে।" বরং সেই হাদিসগুলোতে উল্লেখ আছে মুসলিমদের জন্য তাদের স্ত্রী ও অধীনস্তদের  হালাল করা হলো। (তাদের দেওয়া হাদিসগুলো শেষে দেওয়া হবে)  


হালাল করা মানে কি ধর্ষণে বৈধতা দেওয়া ?  বল প্রয়োগে যে ব্যভিচার সংঘঠিত হবে তাই ধর্ষণ। 

কিন্তু ইসলামে ধর্ষণ হারাম ও মহা পাপ। বরং ইসলাম বিবাহকে হালাল করেছে। 


কুরআন মজিদে আল্লাহ তাআলা বলেনঃ 

আর তোমরা তোমাদের মধ্যকার অবিবাহিত নারী-পুরুষ ও সৎকর্মশীল দাস দাসীদের বিবাহ দাও। তারা অভাবী হলে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দেবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময় ও মহাজ্ঞানী। 

রেফারেন্সঃ সূরা নূর, ২৪ঃ৩২                                                                           


আর তোমরা ব্যভিচারের কাছে যেয়ো না, নিশ্চয় তা অশ্লীল কাজ ও মন্দ পথ।   

রেফারেন্সঃ সূরা ইসরা, ১৭ঃ৩২                      


আর অশ্লীল কাজের নিকটবর্তী হবে না- তা থেকে যা প্রকাশ পায় এবং যা গোপন থাকে। আর বৈধ কারণ ছাড়া তোমরা সেই প্রাণকে হত্যা করো না, আল্লাহ যা হারাম করেছেন। এগুলো আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে তোমরা বুঝতে পার।  

রেফারেন্সঃ সূরা আন'আম, ৬ঃ১৫১                                     


তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের থেকেই স্ত্রীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে প্রশান্তি পাও। আর তিনি তোমাদের মধ্যে ভালবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয় এর মধ্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে সে কওমের জন্য, যারা চিন্তা করে। রেফারেন্সঃ সূরা রূম, ৩০ঃ২১  


হাদিসে উল্লেখ আছে,

রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, হে যুব সম্প্রদায় তোমাদের মধ্যে যারা বিয়ে করার সামর্থ্য রাখে, তারা যেন বিয়ে করে। কেননা, বিয়ে তার দৃষ্টিকে সংযত রাখে এবং লজ্জাস্থান হিফাযত করে এবং যার বিয়ে করার সামর্থ্য নেই, সে যেন সওম পালন করে। কেননা, সওম তার যৌনতাকে দমন করবে।  

রেফারেন্সঃ সহীহ বুখারিঃ হাদিস নংঃ ৫০৬৬ 


ইসলামে ধর্ষণ ও যিনা ব্যভিচারের শাস্তি। 

ইসলাম শুধু ব্যভিচারের শাস্তিই ঘোষণাই করেনি বরং ব্যভিচার ও ধর্ষণের মারাত্মক শাস্তির বিধান রেখেছে। 


‘আলক্বামাহ ইবনু ওয়াইল (রহঃ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর যুগে জনৈকা মহিলা সলাত আদায়ের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে এক ব্যক্তি তাকে নাগালে পেয়ে তার উপর চেপে বসে তাকে ধর্ষণ করে। সে চিৎকার দিলে লোকটি সরে পড়ে। এ সময় অপর এক ব্যক্তি তার পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। সে (ভুলবশত) বললো, এ লোকটি আমার সঙ্গে এরূপ করেছে। এ সময় মুহাজিরদের একটি দল এ পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন। স্ত্রীলোকটি বললো, এ লোকটি আমার সঙ্গে এরূপ করেছে। অতএব যার সম্পর্কে মহিলাটি অভিযোগ করেছে তারা দ্রুত এগিয়ে লোকটিকে ধরলো। অতঃপর তারা তাকে তার নিকট নিয়ে আসলে সে বললো, হ্যাঁ, এ সেই ব্যক্তি। তারা তাকে নিয়ে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট উপস্থিত হলেন। তিনি তার সম্পর্কে ফায়সালা করতেই আসল অপরাধী দাঁড়িয়ে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমিই অপরাধী। তিনি ধর্ষিতা মহিলাটিকে বললেনঃ তুমি চলে যাও, আল্লাহ তোমাকে ক্ষমা করেছেন আর নির্দোষ ব্যক্তি সম্পর্কে উত্তম কথা বললেন। যে ধর্ষণের অপরাধী তার ব্যাপারে তিনি বললেনঃ তোমরা একে পাথর মারো। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ সে এমন তাওবাহ করেছে যে, মাদীনাহবাসী যদি এরূপ তাওবাহ করে, তবে তাদের পক্ষ হতে তা অবশ্যই কবুল হবে।

রেফারেন্সঃ সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নংঃ ৪৩৭৯ 


আর তোমরা ব্যভিচারের কাছে যেয়ো না, নিশ্চয় তা অশ্লীল কাজ ও মন্দ পথ ।   

রেফারেন্সঃ সূরা বনী ইসরাঈল, ১৭ঃ৩২                       


ব্যভিচারিণী ও ব্যভিচারী তাদের প্রত্যেককে একশ’টি করে বেত্রাঘাত কর। আর যদি তোমরা আল্লাহ ও শেষ দিবসের প্রতি ঈমান এনে থাক তবে আল্লাহর দীনের ব্যাপারে তাদের প্রতি দয়া যেন তোমাদেরকে পেয়ে না বসে। আর মুমিনদের একটি দল যেন তাদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে।  

রেফারেন্সঃ সূরা আন নূর, ২৪ঃ২


ব্যভিচারিণী 'তারা আল্লাহর সঙ্গে অন্য কোন মা'বূদকে ডাকে না শরী'আত সম্মত কারণ ব্যাতীত কাউকে হত্যা করে না এবং যেনা করে না। আর যে ব্যক্তি এই সকল কাজ করে সে শাস্তি ভোগ করবে। 

কিয়ামতের দিন তার শাস্তি দ্বিগুণ করা হবে এবং শাস্তি লাঞ্চিত অবস্থায় সে অনন্তকাল শাস্তি ভোগ করবে। 

রেফারেন্সঃ সূরা ফুরকান, ২৫ঃ ৬৮,৬৯ 


জোরপূর্বক কোনো দাসীকেও ধর্ষণ করার বৈধতা দেয় না ইসলাম।

লায়স (রহঃ) নাফি‘ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

লায়স (রহঃ) নাফি‘ (রহঃ)-এর সূত্রে বর্ণনা করেন যে, সুফীয়্যাহ বিন্‌ত আবূ ‘উবায়দ তাকে সংবাদ দিয়েছেন যে, সরকারী মালিকানাধীন এক গোলাম গনীমতের পঞ্চমাংশে পাওয়া এক দাসীর সঙ্গে জবরদস্তি করে যিনা করে। তাতে তার কুমারীত্ব মুছে যায়। ‘উমর (রাঃ) উক্ত গোলামকে কশাঘাত করলেন ও নির্বাসন দিলেন। কিন্তু দাসীটিকে সে বাধ্য করেছিল বলে কশাঘাত করলেন না। যুহরী (রহঃ) কুমারী দাসীর ব্যাপারে বলেন, যার কুমারীত্ব কোন আযাদ ব্যক্তি ছিন্ন করে ফেলল, বিচারক ঐ কুমারী দাসীর মূল্য অনুপাতে তার জন্য ঐ আযাদ ব্যক্তির নিকট হতে কুমারীত্ব মুছে ফেলার দিয়াত গ্রহণ করবেন এবং ওকে কশাঘাত করবেন। আর বিবাহিতা দাসীর ক্ষেত্রে ইমামদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোন জারিমানা নেই। কিন্তু তার উপর ‘হদ’ জারি হবে। [১৩৬](আধুনিক প্রকাশনী- অনুচ্ছেদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- অনুচ্ছেদ) 

রেফারেন্সঃ সহীহ বুখারি-হাদিস নং- ৬৯৪৯ 


সালামাহ ইবনুল মুহাব্বিক (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। জনৈক ব্যক্তি তার স্ত্রীর দাসীর সঙ্গে সঙ্গম করলো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার ব্যাপারে ফায়সালা দিলেন, সে যদি তার সঙ্গে জোরপূর্বক এ কাজ করে থাকে, তাহলে দাসী আযাদ এবং তার কর্তব্য হলো, তার মতো একটি দাসী তার মনিবকে (স্ত্রীকে) দেয়া। আর যদি আপোষে তা হয়ে থাকে, তাহলে সে তার মালিকানায় চলে যাবে এবং দাসীর মনিবকে তার মতো একটি দাসী প্রদান করা স্বামীর কর্তব্য হবে।রেফারেন্সঃ সুনানে আবূ দাঊদ-হাদিস নং- ৪৪৬০ 



আবু দাউদ (রহঃ) ... নুমান ইবন বশীর (রাঃ) হতে বর্ণিত, যে ব্যক্তি তার স্ত্রীর বাদীর সাথে সঙ্গমে লিপ্ত হয়, তার সম্বন্ধে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যদি সে স্ত্রী বাদীকে তার জন্য বৈধ করে থাকে, তবে তাকে একশত কোড়ার আঘাত কর, আর যদি সে তা তার জন্য বৈধ না করে থাকে, তবে তাকে রজম কর।

রেফারেন্সঃ সুনানে আন নাসায়ী- ৩৩৬৫ 




ইবন যুহরী (রহঃ) হইতে বর্ণিত, আবদুল মালিক ইবন মারওয়ান জবরদস্তিভাবে যিনা করান হইয়াছে এমন স্ত্রীলোকের ফয়সালা এই দিয়াছেন: ব্যভিচার যে করিয়াছে ঐ স্ত্রীলোকটিকে মোহর দান করিবে।                                                                                মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট এই ফয়সালা যে, যদি কেহ কোন স্ত্রীলোকের উপর জবরদস্তি করে, চাই সে কুমারী হউক অথবা অকুমারী, যদি সে স্বাধীন হয় তবে তাহাকে মাহরে মিসাল দেওয়া আবশ্যক।

আর যদি যে দাসী হয় তবে যিনার দ্বারা যে মূল্য কম হইয়াছে তাহা আদায় করিতে হইবে এবং ব্যভিচারীর শাস্তিও সঙ্গে সঙ্গে হইবে এবং উক্ত স্ত্রীলোকের উপর কোন শাস্তিও হইবে না। আর যদি ব্যভিচারী গোলাম হয় তবে মনিবের জরিমানা দিতে হইবে। কিন্তু যদি গোলামকে ক্ষতিপূরণ হিসাবে দিয়া দেয় তবে ভিন্ন কথা 

 রেফারেন্সঃ মুয়াত্তা মালিক- ১৪৩৫ 



মুহাম্মদ ইবন বাশশার (রহঃ) ... নুমান ইবন বশীর (রাঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন। ঐ ব্যক্তি সম্বন্ধে, যে তার স্ত্রীর বাঁদীর সাথে সহবাস করেছিল। তিনি বললেনঃ যদি সে তাকে তার জন্য হালাল করে থাকে, তবে আমি তাকে একশত কোড়া লাগাব। আর যদি সে তা তার জন্য হালাল না করে থাকে, তবে আমি তাকে রজম করব।

রেফারেন্সঃ সুনানে আন নাসায়ী- ৩৩৬৩ 


যখন কোন মহিলাকে ব্যভিচারে বাধ্য করা হয় তখন তার উপর কোন 'হদ' আসেনা। আল্লাহ্‌, বলেনঃ তবে কেউ যদি তাদেরকে বাধ্য করে সে ক্ষেত্রে জবরদস্তির পর আল্লাহ্‌ তো তাদের প্রতি ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু।  রেফারেন্সঃ সূরা আন-নুর, ২৪ঃ৩৩   


নাস্তিকদের ওয়েভসাইটে "ইসলামে দাসী ধর্ষণ বৈধ" এটা যে আয়াত/হাদিসগুলো প্রমাণ স্বরূপ উল্লেখ করেছে।   

কুরআন 



রেফারেন্সঃ সূরা নিসা, ৪ঃ৩৪  

এই আয়াতে ক্রীতদাসীদের বিবাহ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু নাস্তিকদের দাবী এখানে নাকি ধর্ষণ করান অনুমতি দিয়েছে। নাস্তিকদের এ দাবী পুরোপুরি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।  





রেফারেন্সঃ সূরা নিসা, ৪ঃ২৪  

এই আয়াতেও ক্রীতদাসীদের ধর্ষণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়নি। বরং এখানে বলা হচ্ছে যুদ্ধবন্দীনিদের মুসলিমদের জন্য হালাল করা হয়েছে। এবং তাদেরকে দেন-মোহর দিয়ে বিবাহ করার নির্দেশ দিয়েছে। অবৈধ যৌনাচারে লিপ্ত হওয়া বা ধর্ষণের অনুমতি দেওয়া হয়নি। 




রেফারেন্সঃ  সূরা আল মুমিনুন, ২৩ঃ ৫,৬,৭ 

এই আয়াত সমূহে বলা হচ্ছে যারা নিজেদের লজ্জা স্থান হেফাজত করে (নিজেদের স্ত্রী ও যুদ্ধবন্দীনিদের ছাড়া তারা নিন্দিত হবেনা।) 

ইসলামে যেহেতু স্ত্রী এবং যুদ্ধবন্দীনিদের সাথে সহবাস হালাল তাই তারা ছাড়া বাকিদের কাছে লজ্জাস্থান হেফাজত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  কিন্তু এখানেতো কাউকে ধর্ষণ করতে বলা হয়নি। মুসলিমরা বৈধভাবে তাদের স্ত্রী আর যুদ্ধবন্দীনিদের সাথে সহবাস করলে ধর্ষণ হয়ে যায়! আর নাস্তিকরা নিজর মা কেও ধর্ষণ করলে তা অপরাধ না!

নাস্তিক্যবাদ অনুসারে নিজ মায়ের সাথে সহবাস করা যাবে। রেফারেন্সঃ  



হাদিস 



রেফারেন্সঃ  সহীহ বুখারি,হাদিস নং- ৪১৩৮ , সহীহ মুসলিম,হাদিস নং- ৩৫০০, সহীহ মুসলিম, হাদিস নং- ৩৫০১ 





রেফারেন্সঃ সহীহ,মুসলিম হাদিস নং- ৩৪৩৬, সুনান আবু দাঊদ,হাদিস নং- ২১৫৫সুনান আবু দাঊদ,হাদিস নং- ২১৫৮ 





রেফারেন্সঃ সহীহ, বুখারী হাদিস নং- ৬৬০৩সহীহ, বুখারী হাদিস নং- ২২২৯সুনান আবু দাঊদ হাদিস নং- ৪০১৭

এই হাদিসগুলোর কোথাও কিন্তু ধর্ষণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে এমন কথা বলা হয়নি। বরং এই হাদিসগুলোতে স্ত্রী ও ক্রীতদাসীদের সাথে সহবাস হালাল করা হয়েছে তা উল্লেখ করেছে। সহবাস আর ব্যভিচার বা ধর্ষণ তো এক জিনিস না ! 


Next Post Previous Post
2 Comments
  • Unknown
    Unknown ২৮ জুন, ২০২১ এ ৫:০২ AM

    হাস্যকর । দাসীদের বিয়ে করা যাবে , দাসী রাখা যাবে । আর যৌনকাজও করা যাবে । দাসী বানানো আর ধর্ষণের মাঝে পার্থক্য আছে ??? কোন নারী নিজ থেকে দাসী হতে চায় ??? এই দাসী শব্দটাই প্রমান করে ইসলাম মানুষ এর তৈরি । ইশ্বরের না ।

    • Sazzatulmowla Shanto
      Sazzatulmowla Shanto ২৮ জুন, ২০২১ এ ৬:৫৬ AM

      ইসলামে দাস প্রথা মানে কি প্রচলিত দাস-দাসী? https://faith-andtheology.blogspot.com/2021/06/blog-post_3.html এটা পড়েন আসা করি বুঝতে পারবেন।

Add Comment
comment url