স্রষ্টার ধারণা কি স্রষ্টার অস্তিতের প্রমাণ হতে পারে ?

 স্রষ্টার ধারণা কি স্রষ্টার অস্তিতের প্রমাণ হতে পারে ? 

লিখেছেনঃ Sazzatulmowla Shanto. 


বিজ্ঞান কি এই প্রশ্নের উত্তরের জন্য আমাদের "ধারণা" সম্পর্কে জানতে হবে। পাশ্চাত্যের আধুনিক দার্শনিক গণিতজ্ঞ এনং বিজ্ঞানী রেনে ডেকার্টের মতে Theory of idea তিন প্রকার।

১. আগুন্তক ধারণা ( Adventitious Idea) ২. কৃক্রিম ধারণা ( Factitious Idea ) ৩. Innate Idea ( সহজাত ধারণা )

আগুন্তক ধারণা ( Adventitious Idea): আগুন্তক ধারণা যে-সব ধারণা ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে বাহ্য জগৎ থেকে মনো জগতে আসে তাকে আগুন্তক ধারণা (Adventitious Idea) বলে। সহজ ভাষায় বললে, আমারা যা কিছু দেখি,শুনি বা অভিজ্ঞতার মাধ্যমে যে ধারণা অর্জন করি সেগুলোই আগুন্তক ধারণা (Adventitious Idea)
যেমন এই লেখা আপনি দেখে যে ধারণা বা অভিজ্ঞতা অর্জন করবেন তাই আগুন্তক ধারণা।

২. কৃক্রিম ধারণা ( Factitious Idea ): ভিবিন্ন ধারণা থেকে প্রাপ্ত ফলাফল নিয়ে যে ধারণা আসে তাকে কৃক্রিম ধারণা ( Factitious Idea ) বলে।
যেমন, আমরা পাখি দেখি, পাখির ডানা আছে, আকাশে উড়ে। অপরদিকে ঘোড়াকে দৌড়াতে দেখি। এখানে পাখি উড়া, ঘোড়ার দৌড়ানো এগুলো আমাদের অভিজ্ঞতা।
এই অভিজ্ঞতা থেকে আমরা চিন্তা করতে পারি "পঙ্খীরাজ" চিন্তা করতে পারি। সুতরাং, "পঙ্খীরাজ" হচ্ছে কৃত্রিম ধারণা।
৩. Innate Idea ( সহজাত ধারণা ): যে ধারনা মানুষের মনের ভেতরের জন্মগত ধারনা। যা অভিজ্ঞতার সাথে প্রপ্ত ধারণার বিপরীত। অর্থাৎ যে ধারণা আমারা জন্মগত তাই সহজাত ধারণা। আমরা যদি বলি স্রষ্টার অস্তিত্ব নাই তাহলে স্রষ্টার ধারণা হচ্ছে কৃতিম ধারণা বা আমাদের কল্পনা। কৃত্রিম ধারণার জন্য Real Case থাকতে হবে, বা বাস্তবে কোনো কিছুর অস্তিত্ব থাকবে হবে যেটা থেকে আমরা কৃক্রিম ধারণা অর্জন করতে পারি।
যেমন, "পঙ্খীরাজ" আবিষ্কার করতে পারি। কিন্তু এই "পঙ্খীরাজ" চিন্তা করার জন্য বাস্তিবে পাখি ও ঘোড়া অস্তিত্বশীল হতে হচ্ছে।
সুতরাং, স্রষ্টার অস্তিত্ব যদি নাই থাকে তাহলে আমরা কিসের ভিত্তিতে চিন্তা করি বা ধারণা করিয এ স্রষ্টা নেই বা আছে?

পৃথিবীতে কেউ সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব অস্বীকার করতে পারেনা। যারা সৃষ্টিকর্তা নাই বলে তারা সৃষ্টিকর্তার Embodiment বা রুপ হিসেবে "GOD" "The Biggest" "Nature" ইত্যাদি ব্যাবহার করে।
কেনানা, ন্যাচার তো অন্য কোনো ন্যাচার থেকে আসতে পারেনা। যদি ন্যচার অন্য ন্যচার থকে আসতো তাইলে ন্যচার তো আর ন্যচার হতে পারতোনা। আবার ন্যচার একাধিকও হতে পারেনা।
সুতরাং, ন্যচারকে নাস্তিকরা পরম, অদ্বিতীয় হিসেবেই চিন্তা করে।
কুরআনে আল্লাহর সম্পর্কে বলা হয়ছে,
বল, তিনিই আল্লাহ, এক-অদ্বিতীয়।
আল্লাহ কারো মুখাপেক্ষী নন, সকলেই তাঁর মুখাপেক্ষী।
তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তাঁকেও জন্ম দেয়া হয়নি।
আর তাঁর সমকক্ষও নেই। রেফারেন্সঃ সূরা আল-ইখলাস।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url