ইসলাম ও দাসপ্রথা
ইসলাম ও দাসপ্রথা।
দাস প্রথাঃ
ইসলামে দাসপ্রথাঃ
ইসলামে দাস মুক্তিঃ
ইসলাম ব্যতিত অন্য সকল ধর্ম ও মতবাদ পর্যালোচনা করলে দেখা যায় তারা দাসদের সাথে অমানবিক আচরণ করতো। কিন্তু ইসলাম দাস-দাসীদের দিয়েছে পূর্ণ সম্মান। দিয়েছে স্বাধীন ব্যক্তির মর্যাদা। সমাজে দাস-দাসীদের মুক্তির জন্য ইসলামে অনেক বিধান রেখেছে।কুরআনের আলোকেঃ
আর কিসে তোমাকে জানাবে, বন্ধুর গিরিপথটি কি?
তা হচ্ছে, দাস মুক্তকরণ।
রেফারেন্সঃ সূরা আল-বালাদ; ৯০ঃ১১-১৩
রেফারেন্সঃ সূরা মায়েদা; ৫ঃ৮৯
সদাক্বাহ হল ফকীর, মিসকীন ও তৎসংশ্লিষ্ট কর্মচারী ও যাদের মন জয় করা উদ্দেশ্য তাদের জন্য, দাসমুক্তি ও ঋণগ্রস্তদের জন্য, আল্লাহর পথে (ব্যয়ের জন্য) আর মুসাফিরের জন্য। এটা আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত ফরয। আর আল্লাহ হলেন সর্বজ্ঞ, মহাবিজ্ঞানী।
হাদিসের আলোকেঃ
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, কেউ কোন মুসলিম ক্রীতদাস মুক্ত করলে আল্লাহ্ সেই ক্রীতদাসের প্রত্যেক অঙ্গের বিনিময়ে তার এক একটি অঙ্গ (জাহান্নামের) আগুন হতে মুক্ত করবেন। সাঈদ ইবনু মারজানা (রাঃ) বলেন, এ হাদীসটি আমি আলী ইবনু হুসাইনের খিদমতে পেশ করলাম। তখন ‘আলী ইবনু হুসাইন (রাঃ) তাঁর এক ক্রীতদাসের কাছে উঠে গেলেন যার বিনিময়ে ‘আবদুল্লাহ ইবনু জা’ফার (রাঃ) তাকে দশ হাজার দিরহাম কিংবা এক হাজার দীনার দিতে চেয়েছিলেন এবং তিনি তাকে মুক্ত করে দিলেন।
আসমা বিনতু আবূ বক্র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূর্যগ্রহণের সময় ক্রীতদাস মুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। আলী (রহঃ) দরাওয়ারদী (রহঃ) সূত্রে হিশাম (রহঃ) হাদীস বর্ণনায় মূসা ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ) -এর অনুসরন করেছেন।
আবূ মাস’ঊদ আল-আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা আমার এক ক্রীতদাসকে প্রহার করছিলাম। এ সময় আমার পিছন হতে একটি শব্দ শুনতে পেলাম, হে আবূ মা’সঊদ! জেনে রাখো, আল্লাহ তোমার উপর এর চেয়ে বেশী ক্ষমতাবান যতটুকু তুমি তার উপর ক্ষমতাবান। আমি পিছন হতে তার এরূপ ডাক দু’বার শুনতে পেলাম। আমি পিছনের দিকে তাকিয়ে দেখি, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। আমি বললামঃ হে আল্লাহর রাসুল! সে আল্লাহর সন্তষ্টির জন্য স্বাধীন (আমি তাকে মুক্ত করে দিলাম)। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তুমি যদি তাকে মুক্ত না করে দিতে তাহলে জাহান্নামের আগুন তোমাকে গ্রাস করতো।
রেফারেন্সঃ সুনানে আবু দাঊদ; হাদিস নং ৫১৫৯
হিলাল ইবনু ইয়াসাফ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা সুয়াইদ ইবনু মুক্বাররিন (রাঃ) এর বাড়ীতে থাকতাম। আমাদের সঙ্গে একজন মেজাজী বৃদ্ধ ছিলেন এবং তার সঙ্গে একটি দাসী ছিল। তিনি তার চেহারায় চড় মারলেন। এ কারণে, সুয়াইদ (রাঃ) এতোটা উত্তেজিত হয়েছিলেন যে, আমরা তাকে এমন উত্তেজিত হতে আর দেখিনি। তিনি বললেন, একে আযাদ করা ব্যতীত তোমার জন্য অন্য কোন পথ নেই। তুমি দেখছো যে, আমাদের মুক্বাররিনের সাতটি সন্তান। আমাদের মাত্র একজন খাদেম ছিল। আমাদের কনিষ্ঠজন তার মুখে চড় মেরেছিল বিধায় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে তাকে আযাদ করার নির্দেশ দিলেন।
রেফারেন্সঃ সুনানে আবু দাঊদ; হাদিস নং- ৫১৬৬
উসমান (রাঃ) এববার তার এক গোলামকে দেখলেন উষ্ট্রীকে খাদ্য দিচ্ছে। পশুর খাবারে তিনি অপছন্দনীয় বা ঘৃণিত কোনো বস্তু দেখতে পেয়ে গোলামকে কানমলা দিলেন। পরে তিনি অনুতপ্ত হয়ে গোলামকে বললেন; তুমি আমার কাছে থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ করো। দাসটি অস্বীকার করলে 'উসমান বার বার পীড়াপীড়ি করতে লাগলেন'। বাধ্য হয়ে গোলামটি উসমান (রাঃ) কান টানলেন। 'উসমান (রাঃ) বললেন, আখিরাতের কিসাসের পূর্বে দুনিয়ার কিসাস আদায় হয়ে যাওয়া কতইনা চমৎকার'।
রেফারেন্সঃ আমিরুল মুমিনিন উসমান ইবনু আফফান; পৃষ্ঠা নং- ৮২
ইসলামে দাস-দাসীর অধিকার ও আচরণঃ
কুরআনের আলোকেঃ
হাদিসের আলোকেঃ
আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, কারো যদি একটি বাঁদী থাকে আর সে তাকে প্রতিপালন করে, তার সাথে ভাল আচরণ করে এবং তাকে মুক্তি দিয়ে বিয়ে করে, তাহলে সে দ্বিগুন সাওয়াব লাভ করবে।
রেফারেন্সঃ সহিস বুখারি, হাদিস নং- ২৫৪৪
আবূ হুরাইয়াহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যেন ‘আমার দাস ও আমার দাসী’ না বলে এবং অধীনস্থরাও যেন ‘আমার রব, আমার রাব্বাতী’ না বলে। বরং মনিব তার দাসকে বলবে, ফাতায়া ও ফাতাতী (আমার যুবক ও আমার যুবতী)। আর অধীনস্থ লোকেরাও বলবে, আমার সাইয়িদ আমার সাইয়িদাহ (আমার নেতা ও আমার নেত্রী)। কেননা তোমরা সবাই গোলাম। মহান আল্লাহই হলেন একমাত্র রব।
রেফারেন্সঃ সুনানে আবু দাউদ; হাদিস নং- ৪৯৭৫
মারূর ইবনু সুওয়াইদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একবার আমি আবূ যার গিফারী (রাঃ) -এর দেখা পেলাম। তার গায়ে তখন এক জোড়া কাপড় আর তার ক্রীতদাসের গায়েও (অনুরূপ) এক জোড়া কাপড় ছিল। তাঁকে এর কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, একবার এক ব্যক্তিকে আমি গালি দিয়েছিলাম। সে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাছে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করল। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেন, তুমি তার মার প্রতি কটাক্ষ করে তাকে লজ্জা দিলে? তারপর তিনি বললেন, তোমাদের গোলামরা তোমাদেরই ভাই। আল্লাহ তাদেরকে তোমাদের অধীনস্ত করেছেন, কাজেই কারো ভাই যদি তার অধীনে থাকে তবে সে যা খায়, তা হতে যেন তাকে খেতে দেয় এবং সে যা পরিধান করে, তা হতে যেন পরিধান করায় এবং তাদের সাধ্যাতীত কোন কাজে বাধ্য না করে। তোমরা যদি তাদের শক্তির ঊর্ধ্বে কোন কাজ তাদের দাও তবে তাদের সহযোগিতা কর।
রেফারেন্সঃ সহীহ বুখারী; হাদিস নং- ২৫৪৫
আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের দাস-দাসীর মধ্যে যারা তোমাদেরকে খুশি করে তাদেরকে তোমরা যা খাও তা-ই খেতে দাও এবং তোমরা যা পরিধান করো তাই পরতে দাও। আর যেসব দাস তোমাদের খুশি করে না তাদেরকে বিক্রি করো। তোমরা আল্লাহর সৃষ্টিজীবকে শাস্তি দিও না।
রেফারেন্সঃ সুনানে আবু দাউন; হাদিস নং- ৫১৬১
দাসত্ব আবু হুরাইরা (রা.) হতে বর্ণিত,
নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, "তোমাদের কেউ যেন [এভাবে সম্বোধন কিরে] না বলে, 'তোমার প্রভুকে খাওয়াও', 'তোমার প্রভুকে অযু করাও', 'তোমার প্রভুকে পান করাও', বরং বলবে, 'আমার মুনিব (সাইয়্যিদ)' বা 'আমার অভিভাবক (মাওলা)'। আর তোমাদের কেউ যেন না বলে 'আমার দাস/বান্দা (আবদ)' বা 'আমার দাসী/বান্দী (আমাত)'; বরং বলবে 'আমার বালিকা (ফাতাত)' এবং 'আমর বালক (গুলাম)'।
রেফারেন্সঃ সহিহ বুখারী, হাদিস নং- ২৫৫২; ইংরেজি অনুবাদ; ভলি ৩; বুক ৪৬।
সামুরাহ (রা.) হতে বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন; যদি কেউ তার ক্রীতদাসকে হত্যা করে আমরা তাঁকে হত্যা করবো, আর কেউ যদি তার ক্রীতদাসের নাক কেটে দেয়, আমরাও তার নাক কেটে দেবো।
রেফারেন্সঃ সুনান আবু দাউদ, হাদিস নং- ৪৫১৫ ইংরেজি অনুবাদ, বুক-৩৯
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, তাওবার নবী আবূল ক্বাসিম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি তার নির্দোষ গোলামের উপর মিথ্যা অপবাদ দিবে, ক্বিয়ামাতের দিন তাকে বেত্রাঘাত করা হবে। রেফারেন্সঃ সুনান আবু দাউদ; হাদিস নং- ৫১৬৫
আবু হুরাইরা (রা.) হতে বর্ণিত:
আমি আবুল ক্বসিম(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে বলতে শুনেছি, কেউ যদি তার ক্রীতদাসকে অপবাদ দেয় আর সেই ক্রীতদাস যদি সে যা বলছে তা হতে মুক্ত হয়, তবে তাকে (অপবাদ আরোপকারিকে) কিয়ামতের দিনে বেত্রাঘাত করা হতে থাকবে যতক্ষণ না সেই ক্রীতদাস তাই হয় যা সে বর্ণনা করেছে।
রেফারেন্সঃ সহিহ বুখারি, হাদিস নং ৬৯৪৩, ইংরেজি অনুবাদ: ভলি ৮, বুক ৮২, নম্বর ৮৪১;
আবু মুসা (রাঃ) হতে বর্ণিত; রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইই ওয়া সাল্লাম বলেন, যার একটি ক্রীতদাসি আছে আর এ তাকে শিক্ষাদীক্ষা দান করে, তার সাথে সদয় ব্যাবহার করে, অতঃপর তাকে মুক্ত করে বিবাহ করে সে দ্বিগুণ সওয়াব পাবে। রেফারেন্সঃ সহিহ বুখারি; হাদিস নং- ২৫৮৪; ইংরেজি অনুবাদ, ভলি-৩
কোন মুনিব তার ক্রীতদাসির সাথে আলোচনা না করে তাকে কারো সাথে বিবাহ দিতে পারবে না।
[দ্রষ্টব্য: বুখারি, হাদিস নম্বর ৭০৫৬; ইংরেজি অনুবাদ: ভলি ৯, বুক ৮৬, নম্বর ১০০; http://sunnah.com/urn/65560 ]
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে সংরক্ষণ করে
নিজেদের স্ত্রী ও মালিকানাভুক্ত দাসী ব্যতীত, কারণ এ ক্ষেত্রে তারা নিন্দা থেকে মুক্ত।
রেফারেন্সঃ সূরা আল-মুমিনুন, ২৩ঃ৫
একজন মুসলিমের জন্য ততক্ষণ পর্যন্ত যুদ্ধবন্দীদের মধ্য থেকে কোনো বন্দীনী’র সাথে তার মনোবাঞ্ছা পুরণ করা বৈধ হবে না, যতক্ষণ না বিচারক কর্তৃক তাদের বান্দী বা দাসী হওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।
মুসলিম ব্যক্তির জন্য (কোনো বন্দীনী’র সাথে) তার মনোবাঞ্ছা পুরণ করা বৈধ হবে না, তবে বৈধভাবে তার মালিক হওয়ার পর তার জন্য তা বৈধ হবে।
যুদ্ধবন্দীনীকে দাসী বানানোর পর দুই অবস্থায় ছাড়া সে কোনো মুসলিমের জন্য বৈধ মালিকানায় আসবে না:
প্রথমত: মহিলাটি তার গণিমতের অংশ হওয়া।
দ্বিতীয়ত: অন্যের নিকট থেকে তাকে ক্রয় করা, যখন সে তার মালিকানাভুক্ত হয়।কেউ তার মালিকানাভুক্ত হওয়ার পর পরই তার জন্য তাকে স্পর্শ করা বৈধ হবে না, গর্ভের বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য সে কমপক্ষে এক ‘হায়েয’ তথা একটি মাসিকের মাধ্যমে তার গর্ভাশয় পবিত্র করে নেয়ার পর তাকে স্পর্শ করতে পারবে ... অতঃপর সে ইচ্ছা করলে তার নিকট গমন করতে পারবে, যেমনিভাবে সে তার স্ত্রীর নিকট গমন করে।
উম্মু হাবীবা বিনতু ইরবায ইবনু সারিয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তাকে তার বাবা (ইরবায) জানিয়েছেন যে, গর্ভবতী যুদ্ধবন্দিনীদের সাথে সন্তান প্রসব হওয়ার আগ পর্যন্ত সহবাস করতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বারণ করেছেন।
গর্ভবতী যুদ্ধবন্দিনীর সাথে মিলিত হওয়া যাবে না:
তাকে তার বাবা ইরবায জানিয়ছে যে, গর্ভবতী যুদ্ধবন্দিদের সাথে সন্তান প্রসব হওয়ার আগ পর্যন্ত সহবাস করতে রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বারণ করছেন।
রেফারেন্সঃ জামে;-আত তিরমিজি, হাদিস নং ১৫৬৪
উম্মু হাবীবা বিনতু ইরবায ইবনু সারিয়া (রহঃ) হতে তার বাবা থেকে বর্ণিতঃ
খাইবার যুদ্ধের দিন রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) নিম্নের পশুগুলো খাওয়া অবৈধ ঘোষণা করছেনঃ শিকারি দাঁতওয়ালা হিংস্র পশু, নখর ও থাবাযুক্ত হিংস্র পাখি, গৃহপালিত গাধা, মুজাসসামা এবং খালীসা। তিনি ( সদ্য হস্তগত ) গর্ভবতী বাদীর সাথে সন্তান প্রসব না করা পর্যন্ত সহবাস করতেও বারণ করছেন।
রেফারেন্সঃ জামে;-আত তিরমিজি; হাদিস নং ১৮৭৪
আমর ইবন আওন ...... আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ কোন গর্ভবতী বন্দিনীর সাথে তার সন্তান প্রসবের আগে এবং কোন রমনীর সাথে তার হায়েয হতে পবিত্র হওয়ার পূর্বে সহবাস করবে না।
রেফারেন্সঃ সুনানু আবি দাউদ, ইফা, ৩/১৬১, হা- ২১৫৪
রুওয়াইফি ইবনে সাবিত আল আনসারি হতে বর্ণিত: আমি কি তোমাদেরকে বলবো না রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে হুনাইনের দিনে যা বলতে শুনেছি: “আল্লাহ ও শেষ দিবসে বিশ্বাসী ব্যক্তির জন্য বৈধ নয় অন্যের ফসলে পানি দেওয়া (অর্থাৎ কোন গর্ভবতী নারীর সাথে সঙ্গম করা)। এবং আল্লাহ ও শেষ দিবসে বিশ্বাসী ব্যক্তির জন্য বৈধ নয় কোন যুদ্ধবন্দিনী নারীর সাথে সঙ্গম করা যতক্ষণ না এটা প্রতিষ্ঠিত হয় যে সে গর্ভবতী নয়। এবং আল্লাহ ও শেষ দিবসে বিশ্বাসী ব্যক্তির জন্য বৈধ নয় বণ্টন হবার আগে গণিমতের কোন মাল বিক্রয় করা।” রেফারেন্সঃ সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ২১৫৮
যুদ্ধক্ষেত্রে স্বামীসহ ধৃত যুদ্ধবন্দিনীদের সাথে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন নিষিদ্ধঃ
বন্দি হবার পর সাধা রণভাবে বিবাহিত যুদ্ধবন্দিনীর পূর্বেকার বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন হিসেবে গণ্য করা হয়, ফলে তাদেরকে উপপত্নী হিসেবে গ্রহণ করা তথা তাদের সাথে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করা বৈধ বিবেচিত হয়।যদি যুদ্ধক্ষেত্রে স্বামী এবং স্ত্রী উভয়েই একসাথে অথবা একজনকে যুদ্ধক্ষেত্রের পরিধির বাইরে নিয়ে যাবার আগেই অন্যজন যুদ্ধবন্দি/বন্দিনী হিসেবে ধৃত হয়, সেক্ষেত্রে তাদের বিবাহ-বন্ধন অক্ষুন্ন থাকবে, ফলে উক্ত যুদ্ধবন্দিনীর সাথে স্বামী ভিন্ন অন্য কারো দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন অবৈধ হবে। যদি শুধুমাত্র একজন যুদ্ধক্ষেত্রে ধৃত হয়ে ইসলামী সীমানায় পৌঁছে যায়, সেক্ষেত্রে তাদের বিবাহ বন্ধন বিচ্ছিন্ন হিসেবে গণ্য হবে।
উমার (রা.) এর মতে, মা এবং কন্যার সাথেও একই সময়ে মিলিত হওয়া যাবে না
রেফারেন্সঃ ঐ, রেওয়ায়েত-৩৩
দাসী শুধু মাত্রই তার মালিকের জন্য।
কৃতদাসীর বিয়ে দিলে সে মালিকের জন্য হারাম হয়ে যাবে।
দাসীদের দৈহাহিক সম্পর্ক।
ইসলাম কেন অন্যান্য সামাজিক ব্যাধির মতো এই দাসপ্রথাকে চিরবিলুপ্ত করে দেয়নি ?
ইসলাম কেন যুদ্ধবন্দীনিদের সাথে শারীরিক সম্পর্কে বৈধ করেছে?
যৌন ক্ষুদা যদি মানবিয় প্রয়োজন না হয়, তাহলে কেন ১৩-২৪ বছর বয়সি ৬৪% তরুণ সপ্তাহে ১বার পর্ণ খুজে?