বিজ্ঞানের আলোকে স্রষ্টার অস্তিত্ব।
বিজ্ঞানের আলোকে স্রষ্টার অস্তিত্ব। লিখেছেনঃ Sazzatulmowla Shanto
মানুষের পক্ষে নিজেদের ইন্দ্রিয় অনূভুতি দিয়ে ইউনিভার্সের অস্তিত্ব প্রমাণ করা সম্ভব?
উত্তরঃ না।
তাহলে আমরা কি বিশ্বজগতকে স্বীকার করিনা? বিশ্বাস করি না?
উত্তরঃ হ্যাঁ। স্বীকার করি।
আমরা কোনো প্রকার যুক্তি প্রমাণ ছাড়াই বিশ্বজগৎ বিশ্বাস করি।
বিজ্ঞান নিজেই এটা বিশ্বাস করে এবং এটার উপর নির্ভর করা বিজ্ঞানের মূল ভিত্তি।
এটা আমি বলছিনা,
বিশ্ব বিখ্যাত বিজ্ঞানী আইনস্টাইন এ কথা স্বীকার করে নিয়েছে।
উত্তরঃ না।
তাহলে আমরা কি বিশ্বজগতকে স্বীকার করিনা? বিশ্বাস করি না?
উত্তরঃ হ্যাঁ। স্বীকার করি।
আমরা কোনো প্রকার যুক্তি প্রমাণ ছাড়াই বিশ্বজগৎ বিশ্বাস করি।
বিজ্ঞান নিজেই এটা বিশ্বাস করে এবং এটার উপর নির্ভর করা বিজ্ঞানের মূল ভিত্তি।
এটা আমি বলছিনা,
বিশ্ব বিখ্যাত বিজ্ঞানী আইনস্টাইন এ কথা স্বীকার করে নিয়েছে।
“ মহাবিশ্বের যে অস্তিত্ব আছে এটা সকল প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের ভিত্তি। “
রেফারেন্সঃ [ Glenn Borchardt, The Ten Assumption of science: Towards a new scientific worldview; page.14. ]
আমেরিকার দার্শনিক জর্জ সান্তায়না এই ধরনের বিশ্বাসকে বলেছেন "অযৌক্তিক বিশ্বাস"। রেফারেন্সঃ[ David Ray Griffin,The Oxford Handbook of religion and science; page 458.
রেফারেন্সঃ [ Glenn Borchardt, The Ten Assumption of science: Towards a new scientific worldview; page.14. ]
আমেরিকার দার্শনিক জর্জ সান্তায়না এই ধরনের বিশ্বাসকে বলেছেন "অযৌক্তিক বিশ্বাস"। রেফারেন্সঃ[ David Ray Griffin,The Oxford Handbook of religion and science; page 458.
আমেরিকান নাস্তিক জোতির্বিদ নিল ডিগ্রাসি বলেন ,
"বর্তমানে মানুষ যদি নিজের ইন্দ্রিয় দিয়ে সমস্তকিছু জাস্টিফাই করে তাহলে তার জন্য বিপদ অপেক্ষা করছে।"
রেফারেন্সঃ Neil Degrasse Tyson,Coming to our scenes. Retrieved from:
https://www.haydeplanetarium.org/.../01/coming-to-our-senses
সবকিছু মানুষের ইন্দ্রিয় অনুভূতি দিয়ে প্রমাণ করা সম্ভব না।
বরং বিজ্ঞান নিজেই অনুমান নির্ভর। বিজ্ঞান আগে থেকেই অনুমান করে নেওয়ার উপর নির্ভরশীল।
"বর্তমানে মানুষ যদি নিজের ইন্দ্রিয় দিয়ে সমস্তকিছু জাস্টিফাই করে তাহলে তার জন্য বিপদ অপেক্ষা করছে।"
রেফারেন্সঃ Neil Degrasse Tyson,Coming to our scenes. Retrieved from:
https://www.haydeplanetarium.org/.../01/coming-to-our-senses
সবকিছু মানুষের ইন্দ্রিয় অনুভূতি দিয়ে প্রমাণ করা সম্ভব না।
বরং বিজ্ঞান নিজেই অনুমান নির্ভর। বিজ্ঞান আগে থেকেই অনুমান করে নেওয়ার উপর নির্ভরশীল।
নাস্তিকরা,ধর্মহীনরা দাবি করে যে "এই মহাবিশ্ব প্রাকৃতিক কারণে সৃষ্টি হয়েছে! মানুষ প্রাকৃতিক কারনে অস্তিত্বে এসেছে আবার প্রকৃতিক
কারণে অনস্তিত্বে চলে যাবে।"
নাস্তিকদের এই দাবিটুকু কোনো প্রকার যুক্তি প্রমাণ নির্ভর নয়। বরং তাদের দাবি কেবলই অন্ধবিশ্বাস।
দর্শনের ভাষায় যাকে বলা হয় “দার্শনিক প্রকৃতিবাদ”। আর এই দার্শনিক প্রকৃতিবাদ'কে স্বয়ং নাস্তিক বিজ্ঞানীরাই অন্ধবিশ্বাস বলে
আক্ষায়িত করেছে!
নাস্তিক বিজ্ঞান-দার্শনিক প্রফেসর মাইকেল রুজ বলেছেনঃ " বস্তুবাদ বা দার্শনিক প্রকৃতিবাদ স্রেফ অন্ধবিশ্বাস। "
রেফারেন্সঃ R.B. Sterwart (ed.), Intelligent Design: Willam A. Dembski & Michael Ruse in Dialogue. P.37
https://www.amazon.com/Intelligent-Design.../dp/0800662180
নাস্তিকদের এই দাবিটুকু কোনো প্রকার যুক্তি প্রমাণ নির্ভর নয়। বরং তাদের দাবি কেবলই অন্ধবিশ্বাস।
দর্শনের ভাষায় যাকে বলা হয় “দার্শনিক প্রকৃতিবাদ”। আর এই দার্শনিক প্রকৃতিবাদ'কে স্বয়ং নাস্তিক বিজ্ঞানীরাই অন্ধবিশ্বাস বলে
আক্ষায়িত করেছে!
নাস্তিক বিজ্ঞান-দার্শনিক প্রফেসর মাইকেল রুজ বলেছেনঃ " বস্তুবাদ বা দার্শনিক প্রকৃতিবাদ স্রেফ অন্ধবিশ্বাস। "
রেফারেন্সঃ R.B. Sterwart (ed.), Intelligent Design: Willam A. Dembski & Michael Ruse in Dialogue. P.37
https://www.amazon.com/Intelligent-Design.../dp/0800662180
উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমরা ধারণা করতে পারি " মানুষ সবকিছু নিজের ইন্দ্রীয় দিয়ে প্রমাণ করতে পারেনা!" সবকিছু যুক্তি প্রমাণ দিয়ে বিশ্বাস
করতে পারে না। বরং কিছু জিনিস মানুষকে মেনে নিতে হয়! প্রমাণ ছাড়াই বিশ্বাস করে নিতে হয়।
ঠিক যেভাবে বিশ্বজগতের অস্তিত্বে বিশ্বাস করি কোনো প্রকার যুক্তি প্রমাণ ছাড়াই।
আমরা এই বিশ্বাসের পেছনে কোনো প্রমাণ খুঁজি না! বিজ্ঞান-দর্শন ও এটা প্রমাণ করতে পারেনা।
স্রষ্টার বিশ্বাস ঠিক এরকমই! যে কারণে আমরা মহাবিশ্বের অস্তিত্ব প্রমাণ ছাড়াই স্বীকার করি সেই কারণেই স্রষ্টার অস্তিত্ব স্বীকার করি।
মানুষের ইন্দ্রীয় শক্তি দিয়ে অনুভব করি যে মহাবিশ্বের অস্তিত্ব আছে! এই বিশ্ব জগতের অস্তিত্ব আছে! তাই কোনো প্রকার যুক্তি প্রমাণ ছাড়াই বিশ্বজগতের
অস্তিত্ব স্বীকার করি আমরা।
ঠিক তেমনিভাবে আমাদের ইন্দ্রিয় অনুভূতি দিয়ে মহাবিশ্ব ও প্রাণের পিছনে বুদ্ধিভিত্তিক সুসজ্জিত পরিকল্পনা দেখে বিশ্বাস করি, প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ বলে কেউ আছেন।
করতে পারে না। বরং কিছু জিনিস মানুষকে মেনে নিতে হয়! প্রমাণ ছাড়াই বিশ্বাস করে নিতে হয়।
ঠিক যেভাবে বিশ্বজগতের অস্তিত্বে বিশ্বাস করি কোনো প্রকার যুক্তি প্রমাণ ছাড়াই।
আমরা এই বিশ্বাসের পেছনে কোনো প্রমাণ খুঁজি না! বিজ্ঞান-দর্শন ও এটা প্রমাণ করতে পারেনা।
স্রষ্টার বিশ্বাস ঠিক এরকমই! যে কারণে আমরা মহাবিশ্বের অস্তিত্ব প্রমাণ ছাড়াই স্বীকার করি সেই কারণেই স্রষ্টার অস্তিত্ব স্বীকার করি।
মানুষের ইন্দ্রীয় শক্তি দিয়ে অনুভব করি যে মহাবিশ্বের অস্তিত্ব আছে! এই বিশ্ব জগতের অস্তিত্ব আছে! তাই কোনো প্রকার যুক্তি প্রমাণ ছাড়াই বিশ্বজগতের
অস্তিত্ব স্বীকার করি আমরা।
ঠিক তেমনিভাবে আমাদের ইন্দ্রিয় অনুভূতি দিয়ে মহাবিশ্ব ও প্রাণের পিছনে বুদ্ধিভিত্তিক সুসজ্জিত পরিকল্পনা দেখে বিশ্বাস করি, প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ বলে কেউ আছেন।
বিজ্ঞান কি স্রষ্টার অস্তিত্ব অস্বীকার করে?
উত্তরঃ না।বিজ্ঞান স্রষ্টার অস্তিত্ব অস্বীকার করেনা। স্রস্টা নিয়ে আলোচনা করা বিজ্ঞানের টপিকই না! বিজ্ঞান স্রস্টা বিষয়ে সবসময় নিরব।
অতিপ্রাকৃতিক বিষয় আছে নাকি নেই সে বিষয়ে বিজ্ঞান কিছুই জানেনা।
কিন্তু বঙ্গীয় বিজ্ঞানপূজারি নাস্তিকদের সমস্যা হলো বিজ্ঞান বিষয়ে তাদের জ্ঞান একেবারে সীমিত! তাইতো বিজ্ঞান দিয়ে তারা স্রস্টার অস্তিত্ব প্রমাণ করতে
আসে!
ডার্ক এনার্জির ধারণা আবিষ্কারের জন্য ২০১১ সালে নোবেল পুরষ্কার পাওয়া নাস্তিক প্রফেসর আ্যলক্স ফিলিপ্পেনকো বলেন,
" স্রস্টা আছে কি না বা মহাবিশ্বের কোনো উদ্দেশ্য আছে কি না সে বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। এই প্রশ্নগুলোর উত্তর বিজ্ঞান দিতে
পারেনা। "
রেফারেন্সঃ https://www.rt.com/news/universe-physics-laws-energy-329/
https://www.space.com/11642-dark-matter-dark-energy-4...
বিখ্যাত সাইন্স ফিকশন লেখক আইজ্যাক আসিমভ ও একই কথা বলে।
তিনি বলেন," স্রস্টা যে নেই এই ব্যাপারে আমার কাছে কোনো প্রমাণ নেই। "
রেফারেন্সঃ Paul Kurtz (etd.), Isaac Asimov on science and the bible. Free inquiry 2, No 2
http://www.sullivan-county.com/id3/asimov2.htm
আরেক নাস্তিক পদার্থবিদ প্রফেসর লরেন্স এম ক্রাউস বলেন," আমি এটা প্রমাণ করতে পারবোনা যে স্রষ্টা নেই।"
রেফারেন্সঃ Lawrence M.krauss Quotes.BrainyQuote.com.Xplore Inc,2018.
https://brainyquote.com/quotes/lawrence_m_krauss_526704
সবচেয়ে মজার বিষয় হলো বঙ্গীয় নাস্তিক সহ সারা বিশ্বের নাস্তিকদের নবী ক্ষ্যাত রিচার্ড ডকিন্সও এটা স্বীকার করেছে যে, স্রষ্টা নেই এটা নিয়ে তার কাছে
প্রমাণ নেই।
রিচার্ড ডকিন্স অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির পাবলিক ডায়লগে বলেন,"স্রস্টা নেই এই ব্যাপারে আমি শতভাগ নিশ্চিত নয়।"
রেফারেন্সঃ John Bingham,Richard Dawkins: i can't be sure god does not exist. The Telegraph, 24 feb 2012.
https://www.telegraph.co.uk/.../Richard-Dawkins-I-cant-be...
সুতারাং, বিজ্ঞানের উপর নির্ভর করে স্রষ্টা কে অস্বীকার করা পাগলামি বৈ কিছুই না।
আর স্রষ্টার অস্তিত্বের প্রমাণ কেবল মানসিক ভারসাম্যহীন লোকে চাইবে।
আর স্রষ্টার অস্তিত্বের প্রমাণ কেবল মানসিক ভারসাম্যহীন লোকে চাইবে।