ইসলাম কেন যুদ্ধবন্দীনিদের সাথে শারীরিক সম্পর্ক বৈধ করেছে?

ইসলাম কেন যুদ্ধবন্দীনিদের সাথে শারীরিক সম্পর্ক বৈধ করেছে? 

লিখেছেনঃ Sazzatulmowla Shanto 



নাস্তিক-মুক্তমনা, তথা ইসলামবিদ্বেষীদের অনেক মুখরোচক একটি অভিযোগ হলো, ইসলাম কেন যুদ্ধবন্দীনি দাসীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক করা বৈধ করেছে ?

আমরা যদি ইসলাম পূর্ব সমাজ ব্যবস্থার দিকে  দৃষ্টিপাত করি তাহলে দেখবো দাসীর সাথে সহবাস করা সমাজে সাধারণ একটা ব্যাপার ছিল। 
তখন যুদ্ধবন্দী নারীদের ধর্ষণ করা ছিল সামাজিকভাবে একটি গ্রহণযোগ্য যুদ্ধনীতি।
যুদ্ধের পর একটি অতি স্বাভাবিক ব্যাপার ছিল ধর্ষণ,এমন একটা ব্যাপার যে দাসীর সাথে সেক্স করাকে কেউ খারাপ ভাবে দেখেন না। যেখানে দাসীরা ছিলো সমাজের সবচেয়ে নীচু পর্যায়ের, তাদের সাথে যেমন খুশি তেমন ব্যবহার করা যেতো, যেখানে তারা ছিলো পুরুষের যৌনভোগের সস্তা বস্তু। 
রেফারেন্সঃ https://en.wikipedia.org/wiki/Wartime_sexual_violence 

ইসলাম পূর্ব যুগে দাস-দাসীর উৎস ও ইসলামে দাস-দাসীর উৎস  ।

সেই সময়কার সভ্যতার এক অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিলো এই দাসপ্রথা। ইসলামের আগমন এমন একটা সময়ে হয়েছে ,যে সময়ে কি না দাসত্ব আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ছিল। বিশ্বের সকল মানুষের নিকট, সকল  রাষ্ট্রের নিকট দাস প্রথা ছিল সর্বজন স্বীকৃত।
সেই সময়ে দাস-দাসীর উৎস ছিলো, ঋণ শোধ করতে না পারা , নারী ও শিশুদের যৌন ব্যবসায় খাটানোর জন্য ক্রয় করা, ভিবিন্ন মুল্যের বিনিময়ে মানুষ কেনা বেচা, দাসদাসী আমাদানী এবং রপ্তানীতে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা, কৃষি কাজ এবং গার্হস্থ্য কাযে দাসদের খাটানো ,যৌন লোভ লালসা পূরণ করার জন্য দাস রাখা,   চুরি অথবা হত্যার মত মারাত্মক ধরনের অপরাধে জড়িয়ে যাওয়ার কারণে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে দাস-দাসীতে পরিণত করা,ছিনতাই বা অপহরণ এবং বন্দী করার মাধ্যমে কোনো ব্যক্তিকে দাস-দাসীতে পরিণত করা, অভিজাত শ্রেণী ও বড় লোকদের সাথে অসদ্ব্যবহার করার কারণে কোনো ব্যক্তিকে দাস-দাসীতে পরিণত করা  ,ইত্যাদি কারনে মানুষ দাসে পরিণিত হচ্ছে। 

কিন্তু,ইসলাম কেবল একটি মাত্র উৎসে দাস প্রথা, তা হলো শরিয়ত মাফিক  যুদ্ধ বা জিহাদ। এবং বিপরীতে দাস মুক্তির বেশ কিছু বাস্তব ভিত্তিক ও যুগোপযোগী পথ উন্মোচন করেছে।

যুদ্ধবন্দীনি দাসীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক বৈধ করার কারণ:

সেক্স বা যৌনতা একটি অপরিহার্য মানবিক চাহিদা। ২০১৭ সালের ফোর্বসের আর্টিক্যালে একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে যেখানে  বলা আছে, একটা সিঙ্গেল পর্ণ সাইটে প্রতিদিন গড়ে ৮১ মিলিয়ন মানুষ ভিজিট করে। বছরে ২৮.৫ বিলিয়ন বার ভিজিট করা হয়। মিনিটে ৫০,০০০ বার সার্চ দেওয়া হয়। প্রতি সেকেন্ডে ৮০০ বার সার্চ দেওয়া হয়। 
রেফারেন্সঃ shorturl.at/czKS9 

টপ ৫ টা পর্ণ সাইটে প্রতিদিন ২০ কোটি বার ভিউ হচ্ছে। 
রেফারেন্সঃ https://www.psychologytoday.com/us/all-about-sex/201830/surprising-new-date-the-world-s-most-popular-pron-site 

ওয়াশিংটনে অবস্থিত National center on sexual Exploitation ( NCOSE) এর মতে, 
১৩-২৪ বছর বয়সি ৬৪% তরুণ সপ্তহা ১বার পর্ণ খুজে। 
রেফারেন্সঃ https://endsexualexploitation.org/publichealth/ .

যৌন খুদা যদি মানবিয় প্রয়োজন না হয়, তাহলে কেন ১৩-২৪ বছর বয়সি ৬৪% তরুণ সপ্তহা ১বার পর্ণ খুজে? 
কেন টপ ৫ টা পর্ণ সাইটে প্রতিদিন ২০ কোটি বার ভিউ হচ্ছে ? 
কেন একটা সিঙ্গেল পর্ণ সাইটে প্রতিদিন গড়ে ৮১ মিলিয়ন মানুষ ভিজিট করে? 
যৌনতা একটা মানবিয় প্রয়োজন, সত্রন্ত্র চাহিদা।যৌনতা  মানুষের মৌলিক চাহিদার মতন। কিন্তু পশ্চিমারা যৌনতা কে মানবিয় চাহিদা হিসেবে মেনে নেই না। মনোবিদ আব্রাহাম মাসলোর একটি বিখ্যাত চাহিদা ক্রমবিন্যাস আছে। যেটা “ Maslow’s hierarchy of needs’ নামে পরিচিত। যেখানে তিনি মানব দেহের প্রথম চাহিদা সারিতে যৌনতাকে রেখেছে। 

তাহলে যেসব নারীরা যুদ্ধবন্দীনি হবে তারা কি বাকি জীবনে কোনো সময়ে যৌনতা  অনুবভ করবেনা ? 
যখন তাদের যৌনতার প্রয়োজন হবে তাদের প্রয়জন কি নাস্তিকরা মিটাতে পারবে ? 
তাদের ঘর, সংসার করার প্রয়োজন কি নাস্তিকরা মিটাতে পারবে ? 

ইসলামে যদি যুদ্ধবন্দীদের  সাথে সহবাসের বিধান না থাকতো তাহলে যুদ্ধবন্দীদের সামনে দুটা পথ খোলা থাকতো । ১) পতিতাবৃত্তি করা ২) কারো রক্ষিতা হওয়া । 
সুস্থ বিবেকবান মানুষের কাছে প্রশ্ন , একজন নারীর জন্য কোনটা সম্মান জনক ? 
পতিতাবৃত্তি করা ? কারো রক্ষিতা হওয়া ? নাকি, স্ত্রীর মর্যাদা নিয়ে, সকল সুযোগ সুবিধা নিয়ে কারো অদিনস্ত থাকা ?  






Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url